নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলাগুলোতে ইজারা পাওয়া হাটগুলো বসতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে গরু।বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) উপজেলার ইজারা পাওয়া ১৬টি হাট ঘুরে দেখা গেছে এ দৃশ্য।
মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজ হাটে দেখা যায়, সেখানে নদীপথ ও সড়ক পথে আসছে গরু। পাশাপাশি তাদের নিজেদের থাকা খাওয়ার কিছু আসবাবপত্রও সাথে আনছেন। ইতোমধ্যে হাটের এক চতুর্থাংশ অংশে গরু বাধা অবস্থায় দেখা যায় হাটটিতে।
একই অবস্থা সোনারগাঁও ডিগ্রী কলেজ হাটে। সেখানে সপ্তাহ খানেক আগে থেকে সড়ক পথে গরু আনছেন ব্যাপারীরা। আগে আগে গরু এনে নিজেদের স্থান নির্বাচন করে সেখানে অনেকে বালু দিয়ে উঁচু করছেন। হাটের ইজারাদাররা গরু উচু করে রাখার বালুর বস্তা বালু ভরাট করে আগে থেকেই মাঠের বাইরে মজুদ করে রেখেছেন। অনেকেই ৫০ থেকে ৭০টি গরু আনছেন আবার অনেকেই দলভুক্তভাবে অনেক গরু একসাথে আনছেন। গরুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা আগে ভাগেই এসে স্থান নির্বাচন করে গরুগুলো উঠাতে শুরু করেছেন।
মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজ হাটে আসা ব্যাপারী আজমত করিম জানান, তিনি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন এখানে। প্রায় ২০টি গরু তার ও তার আত্মীয়ের। তিনি আগেভাগেই এসে হাটের একটি উঁচু ও ভালো জায়গা নিয়েছেন। ২০টি গরু বিক্রি শেষ হলে তিনি আবারো গরু আনবেন বলে জানান। এখনো গরুর বেচার মতো ক্রেতা নেই বলে জানান আজমত।
সোনারগাঁও ডিগ্রী কলেজ হাটে আসা ফরিদপুরের কামরুল ব্যাপারী জানান, তিনি প্রতি বছরের মত এবারো সোনারগাঁও ডিগ্রী কলেজ হাটে গরু এনেছেন। আগেভাগে এসে গরুর জন্য স্থান নির্বাচন ও বালু নিজ খরচে দিয়ে স্থানটি উঁচু করেছেন। তিনি ও তার সাথেও কয়েকজন মিলে মোট ৫০ টির মত গরু এনেছেন বলে জানান তিনি। তবে সবগুলো একসাথে না ধীরে ধীরে হাটে উঠাবেন তিনি।
তবে গরু নিয়ে আসার পথে চাঁদাবাজি না হলেও নানা রকমের হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন ব্যাপারীরা। চাঁদাবাজি যেন না হয় সেদিকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।